Dec 05 2023, 14:33
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানির প্রথম দিনেই হাইকোর্টের বিচারপতিদের তোপের মুখে পড়ল এস এস সি
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানির প্রথম দিনেই কলকাতা হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে প্রশ্নের মুখে পড়লো এসএসসি। আদালতের পর্যবেক্ষণ, তারা হাইকোর্টে একধরনের কথা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে অন্য কথা। সেটা কেন বলছেন, সেটা পরিষ্কার করে পর্ষদকে হলফনামা দিয়ে ৭ দিনের মধ্যে জানাতে হবে। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ বলে, একজন দুর্নীতির চেষ্টা করেছে বলে কি স্কুল সার্ভিস কমিশনও দুর্নীতির ছাড়পত্র পেয়ে যাবেন।
এমনই মন্তব্য করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক।এসএসসি বলে, মূল মামলাকারিরা দুর্নীতি করে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করেছেন।পাননি বলে মামলা করেছেন। আর তারই প্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে কেন ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং কিসের ভিত্তিতে এই ভিন্ন অবস্থান সেটা নিয়েই এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেটা এসএসসিকে বোর্ড মিটিং করে এক সপ্তাহের মধ্যে জানাতে হবে।
ঘটনাচক্রে, হাইকোর্টে কমিশন জানিয়েছিল তারা নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে বেআইনি চাকরি প্রাপকদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করেছে। আবার সুপ্রিম কোর্টে তারাই জানিয়েছে যে কলকাতা হাইকোর্টের চাপে করেছে। কেন এই ভিন্ন অবস্থান তার ব্যাখ্যা দিতে হবে।
ডিভিশন বেঞ্চ একইসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, কোন মিটিংয়ের মাধ্যমে চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তার বিস্তারিত তথ্য জানাতে। আদালতের মন্তব্য, যদি সম্পূর্ন প্যানেল বাতিল হয় তাহলে অনেক যোগ্য প্রার্থীও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। জনগণের টাকা কেন এভাবে নষ্ট হবে। এসএসসি সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্ট থেকে কলকাতা হাইকোর্টে ফেরত আসে। সর্বোচ্চ আদালত ৬ মাসের মধ্যে শুনানি শেষ করার নির্দেশ দেয়। সেই মামলার শুনানির জন্যে বিচারপতির দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দিষ্ট করেন প্রধান বিচারপতি। তারই শুনানিতে আদালতের নির্দেশে বলে, শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতি সংক্রান্ত মামলা শীর্ষ আদালত কেন হাইকোর্টে পাঠালো তা আগে বুঝতে চায় হাইকোর্টের নবগঠিত ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এখানে একাধিক মামলা রয়েছে। তার মধ্যে আরো নতুন আবেদন যুক্ত হবে কিনা, বা একই ধরনের মামলা থাকলে মামলার সংখ্যা কমিয়ে এনে শুনানি করা হবে কিনা তা বিবেচনা করবে ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের হয়ে আইনজীবী কল্যাণ ব্যানার্জীর বক্তব্য, এই সমস্ত মামলায় রাজ্যকে পার্টি না করেই এক তরফা ভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফলে এই মামলা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। যদিও ডিভিশন বেঞ্চের বক্তব্য, সমস্ত প্যানেল যদি বাতিল করা হয় তবে সেটা বেশ কয়েক বছর চাকরি করার পর হঠাৎ করে এই কর্মরতদের বিতাড়িত করা হবে। সমস্ত দিক ক্ষতিয়ে দেখতে চায় ডিভিশন বেঞ্চ। কোন আইনের বলে চাকরি বাতিল করা হবে সেটা স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে জানতে চায় হাইকোর্ট।
Dec 09 2023, 08:41